সিলেটের পর্যটন এখন অনেকটাই সংকটের মধ্যে আছে

প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২২

সিলেটের পর্যটন এখন অনেকটাই সংকটের মধ্যে আছে

সিলেটের পর্যটন এখন অনেকটাই সংকটের মধ্যে আছে। এর পেছনে প্রাকৃতিক দুযোগ, অব্যবস্থাপনা প্রভৃতি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এবার ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে ক্ষতির ধাক্কা কাটিয়ে ওঠতে চায় এ খাত। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও রয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিলেটের পর্যটন একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছর পর্যটন খাত মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল। এরপর গত ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। কিন্তু এবার অব্যবস্থাপনার কারণে ঘটে নেতিবাচক ঘটনা। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে কয়েকজন পর্যটককে মারধর করেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা হয়। সিলেটের পর্যটন ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য এ ঘটনা ছিল বড় ধাক্কা।

গত ঈদের এই ঘটনার পর সিলেটে কমতে থাকে পর্যটক। এরপর আসে দুই দফা বন্যার ধাক্কা। গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রায় দশদিনব্যাপী ছিল প্রথম দফার বন্যা। এরপর গত জুন মাসের ১৪ তারিখ থেকে ফের বন্যায় ডুবে সিলেট। দুই দফার ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের সকল পর্যটনকেন্দ্র ছিল বন্ধ। দেশ-বিদেশের প্রায় কোনোও পর্যটক এসময়ে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে সিলেটে আসেননি। ফলে পর্যটন খাতের ব্যবসায়ী ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় নির্ভর করে জীবিকা চালানো লোকজন বিপাকে পড়েন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে সিলেটে বন্যার পানি কমছে। পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাগুলোও এখন পানির তল থেকে ভেসে ওঠেছে। ফলে এবার ঈদে পর্যটক সমাগমের আশায় রয়েছেন সবাই।

জাফলং ভিউ হোটেলের পরিচালক মোহাম্মদ সানি বলেন, ‘বন্যার কারণে পর্যটকের দেখা মেলেনি। ফলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশা করছি ঈদে ব্যাপক পর্যটক সমাগম হবে।’

হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মিষ্টু দত্ত বলেন, ‘একের পর এক ধাক্কায় সিলেটে পর্যটক আসা কমে গেছে। ফলে আমাদের হোটেল ব্যবসাও ধাক্কা খেয়েছে। এবারের ঈদে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আশায় আছি।’

পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেকেই। কিন্তু পর্যটক না থাকায় তারা এখন বেকার হয়ে আছেন।

কোম্পানীগঞ্জ ফটোগ্রাফার সোসাইটির সভাপতি ফখর উদ্দিন বলছিলেন, ‘পর্যটনের অনেক ক্ষতি করেছে বন্যা। পানি কমেছে, কিন্তু এখনও পর্যটকের দেখা নেই। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও হাতেগোণা পর্যটক দেখা যায়। ফলে আমরা অনেকটাই বেকার। তবে ঈদে পর্যটকদের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ