সেনেগালের গর্জন থামিয়ে শেষ মুহূর্তে জোড়া গোলে নেদারল্যান্ডসের জয়

প্রকাশিত: ২:১৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২২

সেনেগালের গর্জন থামিয়ে শেষ মুহূর্তে জোড়া গোলে নেদারল্যান্ডসের জয়

৮৪ মিনিট ও যোগ করা সময়ে গোল দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস। সাদিও মানের বিশ্বকাপে না থাকাটা যে সেনেগালের জন্য কতটা অপূরণীয় ক্ষতি সেটা হারে হারে টের পেল আফ্রিকান দলটি। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে শেয়ানে শেয়ানে লড়াই করেও ডাচদের বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে হার বরণ করতে হয় তাদের। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে গাকপো এবং খেলা শেষের অতিরিক্ত সময়ের ৮ম মিনিটে ক্লাসেন গোল করে দলকে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা এনে দেন।

সেনেগালের গর্জন থামিয়ে ৮৪ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের গোল। ডি বক্সে ডি জংয়ের পাস পেয়ে মিস করেননি কডি গাকপো। কোনাকুনি দারুণ হেডে গোল বহুল কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন দলকে। এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।

নেদারল্যান্ডস ফেবারিট প্রতিপক্ষ হলেও প্রথমার্ধে ছেড়ে কথা বলেনি সেনেগাল। উলটো আক্রমণ বেশি করে আফ্রিকান সিংহরা। দুই পক্ষই বেশ কয়েকটি সহজ গোল মিস করে। সেনেগাল যেখান ১টি অন টার্গেট শটসহ ৭টি শট নেয় সেখানে ৫টি নেয় ডাচরা। তার মধ্যে ১টিও অন টার্গেট ছিল না। তবে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ডাচরা। ম্যাচের ৫৬ শতাংশ বল ডাচদের পায়ে ছিল। গোল শূন্য ড্র করে দুইদলই বিরতিতে যায়।

৪০ মিনিটে আক্রমণে আসেন নেদারল্যান্ডসের বারগুইস। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। ৩৩ মিনিটে সেনেগালের সাবালি গোলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। ২৯ মিনিটে গোলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন সেনেগালের ক্রিপিন ও গানা। ২৭ মিনিটে ভার্জিল ফন ডাইক আক্রমণভাগে উঠে আসেন। চেষ্টাও চালান কিন্তু ব্যর্থ হন। ২৫ মিনিটে গোলের চেষ্টা করেন সেনেগালের ইসমালিয়া। ১৯ মিনিটে আবার জানসেন ব্লিন্ডের মতো চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ১৭ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের ব্লিন্ড গোলের চেষ্টা চালান। ১৪ মিনিটে সেনেগালের দিয়া অফসাইড করেন। ৯ মিনিটে আবার সেনেগাল আক্রমণের চেষ্টা করে। এবার আক্রমণ করেন মেন্ডি। ৪ মিনিটের নেদারল্যান্ডসের জানসেন আক্রমণ চালায়। প্রথম মিনিটেই সেনাগালের দিয়া গোলের চেষ্টা চালায়। কর্নার পায় আফ্রিকান দেশটি।

সেনেগালের মানে দুঃখ

অবশ্য বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই সেনেগাল একটি বড় ধাক্কা খেয়েছে। তাদের বায়ার্ন মিউনিখের ফরোয়ার্ড সাদিও মানে ফিবুলার ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েন। সেনেগালের কোচ আলিউ সিসে আশা করেছিলেন মানের এই সমস্যাটি সেরে যাবে। হয়তো গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে তাকে পাবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর পাওয়াই গেল না। সে কারণে সিসেকে এখন মানের অনুপস্থিতি মোকাবেলার ট্যাকটিক্যাল নীলনকশা করতে হবে।

সেনেগালের প্রথম আফ্রিকান কাপ অব নেশনস জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন সাদিও মানে। মিশরের বিপক্ষে ফাইনালে দুটি গোল করেছিলেন তিনি। তাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি কাতার বিশ্বকাপও নিশ্চিত হয় সেনেগালের। মানে না থাকায় আফ্রিকান লায়ন্সদের আক্রমণভাগ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারণ, মানে ছাড়া বাকি দুই স্ট্রাইকার ইসমাইলা সার ও ফামারা দিদিউ কেবল ১০টি করে গোল করেছেন জাতীয় দলের হয়ে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ