ঢাকা ৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি গত ১৫ বছরে ঋণের নামে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার যে হিসাব দিয়েছে, সেই অর্থ আর কখনো ফিরবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘একতরফা নির্বাচন’-এর প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ শঙ্কা প্রকাশ করে মঞ্চের নেতারা।
সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে ব্ক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেক রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক মুহিদুজ্জামান মুহিত, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রায়হান কবীর প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন, বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পথচারীদের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
সমাবেশে নেতারা বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ‘একতরফা নির্বাচন’ করার জন্য নির্বাচনের আগেই সন্ত্রাস করে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে করাগারে বন্দি করেছে। এরপর নিজেদের মধ্যেই খেলা আয়োজন করেছে। আমরা আর মামুদের এই খেলাতেও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস ঠেকাতে পারছে না। নিজেদের মধ্যেই মারামারি করছে, কুপিয়ে হত্যা করছে। ইতোমধ্যে ৪৮টি স্থানে সহিংসতায় দুজন মারা গেছে। আর ৭ তারিখ আসতে আর কত রক্তক্ষয় হবে তা বলা মুশকিল। তাহলে বিরোধীদল মাঠে থাকলে কি পরিস্থিতি হতো সেটা সহজেই অনুমেয়।
নেতারা বলেন, এই ‘একতরফা’ নির্বাচন দেশের জন্য বিপদজনক ভবিষ্যৎ ডেকে আনছে। তারপরও সরকার এই পাতানো নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
নেতারা বলেন, গত ১৫ বছরে শুধু আমদানি রপ্তানির ভেতর দিয়ে ১২ থেকে ১৫ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। উন্নয়ন প্রকল্প যা হয়েছে তার প্রায় বিরাট অংশ লুট হয়ে গেছে। সিপিডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এদেশের ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু লুট হয়ে গেছে। আর খেলাপি ঋণের পরিমান অন্ততপক্ষে ২ লাখ কোটি টাকা। এই লুটপাটতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্যই তারা এভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। এই লুটতন্ত্র বন্ধ করতে হলে ৭ তারিখের তামাশার ভোট বন্ধ করতে হবে।
নেতারা আরও বলেন, ৭ তারিখে যদি নির্বাচন হয় তার ফলাফল কী হবে তা সাবার জানা, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তাও সকলের জানা। বিরোধী দল কে হবে তাও সবাই আগাম জানেন। তাহলে এই নির্বাচেনের দরকারটা কি? দেড় থেকে ২ হাজার কোটি টাকা কেন খরচ করা? এটা অপচয়। রাষ্ট্রীয় পয়সা অবচয় করা পরিষ্কার অপরাধ।
নেতারা বলেন, এখনো সময় আছে, অবিলম্বে এই একতরফা নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিন। এবং সংবিধানের ১২৩ (৩)এর (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নতুবা গণ আন্দোলনের মুখেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। অন্যথায় অতীতের স্বৈরাচারীদের পরিণতি এই সরকারকেও বরণ করতে হবে।
পরবর্তী কর্মসূচি :
আগামী ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচারপত্র বিতরণ, গণসংযোগ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক :ড. আজিজুল আম্বিয়া।
আইন উপদেষ্টা:ব্যারিস্টার শেখ সামিউল ইসলাম জুয়েল।
প্রধান সম্পাদক: সাবিনা আক্তার।
সম্পাদক: শরীফ আহমেদ।
নির্বাহী সম্পাদক:আব্দুল হাকিম রুবেল।
ম্যানেজিং এডিটর: কাজী আমিনা।
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়: রহমানিয়া ইন্টা:কমপ্লেক্স(তৃতীয় তলা) টয়েনবি সার্কুলার রোড,মতিঝিল ঢাকা -১০০০।
ইমেইল:info@dailyjanapodprotidin.com
মোবাইল:০১৭১০০৩৯৭৬০
Design by Raytahost