গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।

প্রকাশিত: ১:৫১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে সতর্ক করেছে  জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করছে না। ফলে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিন শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। খবর আলজাজিরার।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) গাজার ইউএনআরডব্লিউএ বিষয়ক পরিচালক বলেছেন, গাজাবাসী চরম ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করছেন। প্রতিটা দিন তাদের বেঁচে থাকতে, খাবার ও পানির জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বাস্তবতা হলো আমাদের আরও ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমাদের সর্বশেষ আশা হলো মানবিক যুদ্ধবিরতি।
৭ অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় পূর্ণ অবরোধ আর করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ কারণে গাজার ফিলিস্তিনিরা খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধ পাচ্ছেন না। অবশ্য মিসর হয়ে রাফাহ সীমান্তপথ দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে শুরু করলে বিপর্যয়কর মানবিক সংকটের কিছুটা লাঘব হয়। তবে তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।

গত সপ্তাহে গাজায় ত্রাণ সহায়তা বাড়াতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়। তবে এই প্রস্তাবকে ‘অপর্যাপ্ত ও প্রায় অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন দাতব্য ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

এর আগে গাজাবাসীকে ভয়ানক জখম, তীব্র ক্ষুধা ও অসুখ-বিসুখের ঝুঁকিসহ গুরুতর বিপদ থেকে রক্ষা করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা বলা হয়েছে, গাজার ২৩ লাখ মানুষ চরম ক্ষুধার মধ্যে থেকে দিন পার করছেন। এদের মধ্যে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ না খেয়ে থাকার মতো অবস্থায় রয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ